অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় দুই গণমাধ্যমকর্মীর (এবি সিদ্দিক-দৈনিক মানবকণ্ঠ, সাইফুল সবুজ-দৈনিক ভোরের কাগজ) ওপর চড়াও হয়ে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলাধীন বুড়িমারী শাখার জনতা ব্যাংকের পিওন কাম ম্যাসেঞ্জার রবিউল ইসলাম রবি।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে জনতা ব্যাংকের বুড়িমারী শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুজ্জামানের অফিস কক্ষে তার উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, বুড়িমারী স্থলবন্দর জিরো পয়েন্ট হয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে বুড়িমারী শাখার জনতা ব্যাংকে চালান বাবদ নির্ধারিত পাঁচশত টাকার অতিরিক্ত (২০,৩০,৫০ টাকা পর্যন্ত) ফি নেওয়া হয়। কখনো কম দিলে জোর করে চেয়ে নেন বলেও ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়। বিষয়টি হাতেনাতে ধরার পর রবিউল ইসলাম রবির কাছে জানতে চাইলে সে সময় টাকা নেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এটা চালান বাবদ নেয়া হয়। আবার পরক্ষণে জানান যে, এটা কেউ দিলে দেয় না দিলে নাই। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম থেকে থাকলে সেটি দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেন নি।
পরে শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুজ্জামানকে বিষয়টি অবগত করলে তিনিও তার পক্ষেই টাকা নেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম হচ্ছে। কেউ কেউ নিজে থেকে টিপস দিয়ে যায়। এটা বাধ্যতামুলক না। এ সময় পরক্ষণে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এই অভিযোগ আপনাদের, যাত্রীরাতো দিলো না। আর টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি অবগত না। এক পর্যায়ে এই কর্মকর্তা অভিযোগকে আমলে না নিয়ে উল্টো যখন তার ভাষ্যগুলো রবি সাহেবের পক্ষে যেতে শুরু করে, ঠিক তখন তিনিও তার টেবিল থেকে উঠে তেড়ে এসে চড়াও হয়ে চিৎকার করে বলেন, আমি আপনাদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেবো। আমার বাড়িও এখানে, আমারও সাংবাদিক আছে।
এই ঘটনায় জনতা ব্যাংকের ডিজিএম শামসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এভাবে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই আর কোথাও বলা নেই। বিষয়টি আমি দেখছি।
উল্লেখ্য, দৈনিক অন্তত দুই থেকে তিনশত পাসপোর্টধারী যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে ৩০টাকা করে নিলে মাস শেষে যে পরিমাণ অর্থ আসে তা তিনি একাই ভোগ করেন নাকি অফিসের যোগসাজশে অন্যান্যরাও ভাগ পান এমন প্রশ্ন জনসাধারণের মুখে।